হোম > সারা দেশ > লালমনিরহাট

থানায় ঘেরাওয়ের পর মুক্তি পেলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

হাতীবান্ধা থানা ঘেরাও করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

থানা ঘেরাওয়ের পর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খন্দকার নূরনবী কাজল মুক্তি পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।

এর আগে গতকাল বুধবার কাজল নামের একজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। সেই আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খন্দকার নূরনবী কাজলকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে থানা-পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও ওয়ারেন্ট নেই দাবি করলেও মুক্তি মেলেনি।

কাজল উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাজল নামের এক আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। সেই আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার নূরনবী কাজলকে গতকাল নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও ওয়ারেন্ট নেই দাবি করলেও মুক্তি মেলেনি। একপর্যায়ে আটক ব্যক্তির পরিবারকে পুলিশ জানায়, ওয়ারেন্টভুক্ত কাজলকে না পেলে এ কাজলকে ছাড়া হবে না।

আজ সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা থানা ঘেরাও করে কাজলের মুক্তির দাবি করেন। এ সময় তাঁরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবীর অপসারণের দাবি তোলেন। পরে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পুলিশ তাঁকে থানাহাজত থেকে মুক্তি দেয়। এরপর ওসির অপসারণের দাবি তুলে বিক্ষোভ করেন।

কাজলের স্ত্রী নাসরিন ফারহানা বলেন, ‘আমার স্বামীকে ইচ্ছা করে ওসি ধরে নিয়ে এসে থানায় রাতভর আটক করে রাখেন। এ নিয়ে আমি কথা বললে ওসি আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। আমাকে বলেন, ওই আসামিকে ধরে নিয়ে আসেন তারপর আপনার স্বামীকে ছাড়া হবে। আমি এই ওসির বিচার ও অপসারণ চাই।’

হাতীবান্ধা থানা ঘেরাও করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খন্দকার নূরনবী কাজল বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, আমার নামে কোনো মামলা নাই। এরপরেও তারা আমাকে ধরে নিয়ে এসে থানাহাজতে রাতভর আটক করে রাখে। ওসি এর আগেই মিথ্যা মামলায় অনেক মানুষকে হয়রানি করেছেন। এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি আমাকে ধরে নিয়ে রাতভর হাজতে আটকে রাখেন। আমি এর সঠিক বিচার ও ওসির অপসারণ চাই।’

হাতীবান্ধা থানা ঘেরাও করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী বলেন, ‘নামের সঙ্গে মিল থাকায় ভুলবশত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ধরে আনা হয়েছিল। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নামের সঙ্গে মিল থাকায় এটি নিছক একটি ভুল।’

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি মাত্র। নাম একই হওয়ায় পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি তেমন কিছু না। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার কারণ নেই। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।’

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন করতে দেব না, এটা আমাদের অঙ্গীকার: মির্জা ফখরুল

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

ভূরুঙ্গামারীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে চার দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত

ফুলবাড়ীতে ট্রলির চাপায় সহযোগী নিহত

কাউনিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ