সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রংপুরের গঙ্গাচড়ার একটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হয়েছে। উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর পূর্ব জলীপাড়া গ্রামবাসী ঈদ উদ্যাপন করেন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় গ্রামের একটি মসজিদে জামাতটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আশপাশের গ্রাম থেকে আসা প্রায় ১২০ জন মুসল্লি অংশ নেন।
স্থানীরা জানান, এ গ্রামের লোকজন প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদ্যাপন করে আসছেন।
৬০ বছরের বৃদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে মাওলানা আব্দুর রশিদ (বাদশা) নামের এক ব্যক্তি সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রথম রোজা ও ঈদ উদ্যাপনের প্রচলন শুরু করেন এই গ্রামে। এর পর থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই গ্রামে রোজা ও ঈদ উদ্যাপন হয়ে আসছে।
জামাল উদ্দিন আরও বলেন, মাওলানা আব্দুর রশিদের মৃত্যুর পর দুই বছর ধরে তাঁর ছেলে মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ জামাতে শুধু এই গ্রামের মুসল্লি নন, আশপাশের গ্রাম থেকেও মুসল্লি এসে জামাতে অংশ নেন।
এ বিষয়ে আব্দুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোরআন শরিফ ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, বিশ্বের যেকোনো স্থানের চন্দ্র উদয় হলে এটি সারা বিশ্বের জন্য গ্রহণযোগ্য। এখন ইন্টারনেটের যুগ বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে, আমরা তা ইন্টারনেট ও টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। গতকাল সৌদি আরবের চাঁদ দেখা গেছে। এটি আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, তাই আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্যাপন করছি।’
নিরাপত্তার বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, পূর্ব জলীপাড়া গ্রামের কিছু লোকজন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্যাপন করেন। তাঁদের ঈদ উদ্যাপনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে—এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশ পাঠানো হয়।