'হামরা গরিব হলেও আতপ চালের ভাত খাই না, তাই ব্যাচে দেওচি।' কথাগুলো উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের সান্ত্বনা বেগমের।
সরকারি উদ্যোগে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি শুরু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলা সদর বাজারে কয়েকজন নারী-পুরুষ কে চাল উঠিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। খাবার জন্য ১০ টাকা দরে দেওয়া চাল বিক্রি করছেন কেন জানতে চাইলে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের শান্তনা বেগম এই বক্তব্য দেন।
আতপ চাল পাওয়া প্রসঙ্গে সুলতানপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, গরিবের সঙ্গে সবাই দুই নম্বরী করে। রংপুরের মানুষ আতপ চালের ভাত খায় না এটা কী সরকারের জানা নেই। জয়ন্তীপুর গ্রামের লোকমান মিয়া জানান ১ হাজার ২ শ টাকা দরের চাল ৭ শ টাকায় বেঁচতে হচ্ছে। মুসাপুর গ্রামের জোসনা বেগম বলেন ১০ টাকা দরে চাল পেয়েও হামরা খুশি হই নাই এই কথা পেপারোত লেখি দ্যান, যাতে প্রধানমন্ত্রীর চোখে পড়ে।
হতদরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে। রংপুরের মিঠাপুকুরে ২৯ হাজার ৮০১ জন অসচ্ছল নারী-পুরুষ এই সুবিধা ভোগ করছেন। কিন্তু গতকাল সোমবার সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ জানান যখন যেটা বরাদ্দ পাওয়া যায়। এ মাসে আতপ চাল পাওয়া গেছে। চালগুলো দিনাজপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। চালের বস্তায় মেসার্স মিলন ইন্ডাস্ট্রিজ, পুলহাট সদর, দিনাজপুর লেখা রয়েছে। কয়েকজন কে চাল বিক্রয় কেন্দ্রের আশপাশেই চাল কিনতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান তাঁরা না কিনলেও অন্য কোণ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করত। তা ছাড়া বিক্রি না করে কী করবে। খেতে তো পারবে না। চাল নেওয়া নারী-পুরুষেরা ১০ টাকা দরে চাল পেয়েও খুশি না। কারণ, আতপ চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত নয় এ অঞ্চলের মানুষ।