নাটোরের লালপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ককটেল ও পেট্রোলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ও যুবলীগের কর্মী পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গোপালপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মোলামকে প্রধান আসামি করে আট জনের নাম উল্লেখসহ ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার গোপালপুর বাজার বটতলার উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয় থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী আজিমনগর স্টেশন থেকে গোপালপুর বাজার বটতলার পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপি অফিস থেকে তাঁদের গালিগালাজ করা হয়। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অফিসের সামনে রুখে দাঁড়ালে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে এবং হট্টগোল শুরু হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় যুবলীগের কর্মী নেওয়াজ শরীফ বিকি আহত হন।
এ বিষয়ে গোপালপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম বলেন, ‘শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপির অফিসে গিয়ে চড়াও হয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারা নিজেরা পেট্রোলবোমা ও ককটেল অফিসের সামনে রেখে বিএনপিকে দোষারোপ করছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর রাতে পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।’
বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক কমিটির সদস্য, বিএনআরসি এডিটরিয়াল বোর্ডের সদস্য ও ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, ‘শনিবার রাতে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপি অফিসের সামনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারা নিজেরা অফিসের সামনে পেট্রোল বোমা ও ককটেল রেখে বিএনপির ওপর অভিযোগ এনে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সম্মেলন বাধাগ্রস্তের চেষ্টা করছে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ ও যুবলীগের কর্মী নেওয়াজ শরীফ বিকি বাদী হয়ে গোপালপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোলামকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন।’