জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নে এক রাতেই ১৬টি বাড়িতে ১৭টা খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিয়াম (১৯) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৩ পর্যন্ত পশ্চিম ঝাউগড়া ও নয়াপাড়া এলাকায় ১৬টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত সিয়াম মাদকাসক্ত ও তিনি রাতে গাঁজা সেবন করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রথমে পশ্চিম ঝাউগড়া এলাকার ফয়েজুর ইসলামের বাড়িতে দুটি খড়ের গাদায় আগুন লাগে। তাঁর ১৫ মিনিট পরে একই এলাকার তাজমহল, হুরমজ ও সুমনের খড়ের গাদায়ও আগুন লাগে। পরে স্থানীয়রা ওই এলাকার চার স্থানে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে। এর মধ্যেই ওই ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় হুমায়ুনের বাড়ির খড়ের গাদায় প্রথমে আগুনের ঘটনা ঘটে। তাঁর ২০ মিনিটে মধ্যে নয়াপাড়া এলাকার শহীদুল্লাহ, শফিকুল, চাঁন মিয়া, রাশেদ মিয়া, মো. হায়দার, মিন্টু, আলমসহ ১২ জনের খড়ের গাদায় আগুন লাগে।
স্থানীয়রা আরও জানান, নয়াপাড়া এলাকায় আগুন লাগানোর সময় সিয়ামকে দুজন ধরে ফেলে। তবে এ সময় সে দুজনকে মারধর করে পালিয়ে চলে যায়।
পশ্চিম ঝাউগড়া এলাকার ভুক্তভোগী ফয়েজুর রহমান বলেন, রাত ২টা থেকে হঠাৎ লোকজনের চিৎকার। উঠে দেখি আমার খড়ের গাদায় আগুন। লোকজন এগিয়ে আসলে পাশেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আমার এখানে আগুন লাগার ঘটনা ১০-১৫ মিনিট পরেই খবর আছে আরও আগুন লাগার।
নয়াপড়া এলাকার ভুক্তভোগী হুমায়ুন বলেন, ‘তাঁরা মিয়ার ছেলে সিয়াম এই ঘটনা ঘটাইছে। আমরা তো সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম তখন রাত তিনটা। হঠাৎ চারদিক চিৎকার। ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার খড়ের গাদাতেও দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। লোকজন ও নেই, সবার বাড়িতেই আগুন। যার যার বাড়িতে আগুন নেভাতে তারা তারাই ব্যস্ত।’
তবে স্থানীয়রা বলছেন, ‘সিয়াম সেই মাদকাসক্ত, মাদকসেবন করে নিয়মিত। রাতে গাঁজা খেয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে।’ অভিযুক্ত সিয়ামের বাবা তাঁরা মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কয়েক দিন ধরে আগের থেকে বেশি পাগলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখনো কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। অভিযোগ করলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’