বাগেরহাট থেকে যশোরে ফুল উৎসবে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সেলিম রেজা বলেন, ‘ফুল চাষকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় যে পরিবর্তন হয়েছে, তা এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না। এখানে এসে বিভিন্ন ফুলের খেত দেখে ভালো লাগছে।’ একই কথা জানান সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে আসা আবু বকর সিদ্দিকও।
আজ শুক্রবার ফুল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় উৎসব এলাকায় ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। উৎসব উপলক্ষে ফুলখেত ও রেস্টুরেন্টগুলো দৃষ্টিনন্দন করা হয়। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য যাত্রীবাহী ভ্যান-অটোরিকশাগুলো ফুল দিয়ে সাজানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা ফুল কানন পানিসারা-হাড়িয়া ফুল মোড়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
ভাই ভাই ফুল বিতানের মালিক লোকমান হোসেন বলেন, ‘আজকে শুধু ফুল দিয়ে তৈরি মাথার ব্যান্ড বিক্রি করেছি অন্তত ১০ হাজার টাকা। বুঝতে পারেনি, ফুল উৎসব উপলক্ষে এত লোকের সমাগম হবে।’ যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের আব্দুর রহিম বলেন, ‘ফুল উৎসবে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসব বইছে।’
ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে এক হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এলাকার ছয় হাজার পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছর সাড়ে তিন শ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।