যশোরের মনিরামপুরে আশা খাতুন (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের বাড়ির ছাদের কক্ষ থেকে স্বজনেরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্বজনেরা জানান, মোবাইল ব্যবহার করতে না দেওয়ায় মায়ের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশা খাতুন বিজয়রামপুর গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পড়ালেখা না করে মোবাইল ব্যবহার করছিল আশা। সামনে পরীক্ষা হওয়ায় মা ফিরোজা বেগম মেয়ের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বকাঝকা করেন। এতে মায়ের ওপর অভিমান করে মেয়েটি। রাতে অন্যরা ঘুমিয়ে পড়লে বাড়ির ছাদের একটি কক্ষে গিয়ে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আশা।
এ বিষয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে হাঁটতে বের হন ফিরোজা বেগম। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েকে নিজের ঘরে খুঁজে পাননি তিনি। পরে বাড়ির ছাদে গিয়ে একটি কক্ষে মেয়েকে ঝুলতে দেখেন। আমরা সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। স্বজনদের অনুরোধে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।