যশোরে মহিউদ্দিন রিমন (২৮) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে থানা–পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের লালদীঘিপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে কোতোয়ালি থানা–পুলিশ তাঁকে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহিউদ্দিন রিমন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক।
লালদীঘিরপাড়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, লালদীঘিরপাড়ে বিএনপির মিছিলের কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি শেষ করে নেতা-কর্মীরা চলে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ট্রাউজার ও হাফ গেঞ্জি পরা ছাত্রলীগের নেতা লালদীঘি এলাকায় আসেন। এ সময় পাঁচ থেকে সাতজন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীকে তাঁর গেঞ্জির কলার ধরে কয়েকটি চড় মারতে দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে ছাত্রলীগ নেতাকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আটক করেননি বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে কোনো ছাত্রলীগ নেতা আটক হয়েছেন, সেটাও তিনি জানেন না।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক কাজী বাবলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, লালদীঘিরপাড়ে স্থানীয় কয়েক যুবক রিমনকে ধরে পুলিশে দেন। পরে বিএনপি অফিস ভাঙচুরের একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখিয়ে কারাগারে পাঠালে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পরিদর্শক কাজী বাবলুর রহমান আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি তাঁর অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে লালদীঘিপাড়ের একটি ফার্মেসিতে এসেছিলেন। এ সময় স্থানীয় কিছু লোক তাঁকে চিনতে পেরে ঘিরে ধরেন।