যশোরের মনিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের অপেক্ষায় নৌকা প্রতীক। বড় ধরনের সহিংসতা বা হতাহতের আশঙ্কা করে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন বলে জানান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নৌকার বিদ্রোহী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনসার আলী ও ডা. মনিরুজ্জামান তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শ্যামকুড় ইউনিয়নে চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনজন প্রার্থিতা তুলে নিয়েছেন।
এ দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি। মনিরামপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান।
নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে নিজের কর্মী সমর্থকদের নিরাপত্তার চিন্তা করে এবং দলের প্রতি অনুগত হয়ে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। গেল নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করছেন মনিরুজ্জামান মনি।
লিখিত বক্তব্যে মনি বলেন, এবারের নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে নামি। আমাকে সমর্থন করায় নৌকার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের লোকজন আমার কর্মী রায়হান হোসেন, আব্দুর রউফ, অটল দাস, হাবিবুর রহমান, সজিব হোসেন, তাজউদ্দীন, ফাহিম হোসেন ও গালিব হোসেনের ওপর হামলা করে। তাঁরা আমার প্রচারণায় বাঁধার সৃষ্টি করে।
চেয়ারম্যান মনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও আমার কর্মী সমর্থকদের কথা চিন্তা করে এবং দলের প্রতি অনুগত হয়ে আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিই।
লিখিত বক্তব্য পড়ার সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন চেয়ারম্যান মনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মনি বলেন, সম্প্রতি নৌকার প্রার্থীর লোকজন চিনাটোলা বাজারে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। আমার কর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমি নির্বাচন করলে বড় ধরনের সহিংসতা বা হতাহতের আশঙ্কা করছি।
মনিরুজ্জামানের করা অভিযোগের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের কোনো কার্যক্রমে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না।