হোম > সারা দেশ > যশোর

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন কাল

­যশোর প্রতিনিধি

আজ রোববার যশোরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে যশোর পৌরসভা ম্যুরালটি ভাঙার কাজ শুরু করে। স্থানটিতে এখন নির্মিত হবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’। আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম।

এর আগে দুই দফা ম্যুরালটি ছাত্র-জনতা ভাঙচুর করে। গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের দিন আংশিক ভাঙচুর করে ম্যুরালে ইসলামিক গ্রাফিতি সেঁটে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আর চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাতুড়ি-শাবল ও একটি এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙার চেষ্টা শুরু করে তারা। সেবারও সম্পূর্ণ ভাঙতে পারেনি। এবার তৃতীয় দফায় এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ম্যুরালটি। ২০১২ সালে শহরের বকুলতলা মোড়ে ২৯ লাখ ৯ হাজার ৯৫ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছিল।

যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল হোসেন বলেন, ‘ম্যুরালটি ভাঙার পর স্মৃতিসৌধ এলাকায় থাকা প্রাচীর ভেঙে রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যাতে ওই অঞ্চলের যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।’ বিষয়টি নিয়ে যশোর গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। এ প্রকল্পের জন্য ১৪ লাখ টাকার বাজেট নির্ধারিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা হবে ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের সময় জনতার মুখে মুখে উচ্চারিত উদ্দীপনামূলক স্লোগানগুলো এ স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন অংশে স্থায়ীভাবে খোদাই করা হবে। এসব স্লোগানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে জনগণের প্রতিবাদ, সাহস ও প্রতিরোধের ভাষা, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে আন্দোলনের শক্তি কতটা যুগান্তকারী হতে পারে। স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ শেষ হলে এটি যশোরবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের বরাতে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে যশোরের চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায় কালো কাপড়ের ওপর কাগজে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী ম্যুরাল তৈরি করেন। এ অস্থায়ী ম্যুরালেই শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহিবুল হককে জানানো হলে তিনি যশোরের সুধী সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে অস্থায়ী ম্যুরাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অস্থায়ী ম্যুরালের স্থায়ী রূপ দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর দুদিন পর ১৭ আগস্ট জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মনিরামপুর উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান স্বপন ভট্টাচার্য যশোরে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল’ স্থাপনের প্রস্তাব করেন। ১৬ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক অবয়বের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ম্যুরালের নকশা তৈরি করেন বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী তাসনিভা রহমান মুমু। ম্যুরালশিল্পী হিসেবে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ। ম্যুরালটি পরিপূর্ণ রূপ লাভ করে ২০১২ সালের শেষ দিকে।

যশোরে সোনার ১০টি বারসহ আটক ২

চৌগাছায় শিক্ষার্থীদের বহনকারী ইজিবাইক-প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৮

যশোরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত ২

ছুটিতে এলাকায় যাওয়া পুলিশ সদস্য তিন দিন ধরে নিখোঁজ

যশোর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

যশোরে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কানাডার ভিসা-চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সংঘর্ষের পর যবিপ্রবি ক্যাম্পাস থমথমে, সেই দোকানদার আটক

যশোরে ফেনসিডিলের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

যশোর সার্কিট হাউস থেকে ভুয়া অতিরিক্ত সচিব আটক