দেশে খাদ্যদ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল, ডাল, গম, ডিম, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের পর এবার আলু আমদানি শুরু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বন্দর থেকে আমদানি করা আলু খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ৩টি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়। গতকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় এদিন আলুর চালানটি ছাড়পত্র পায়নি।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতি রুখতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। এতে দেশে ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে ১২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন আলুর কাস্টমস শুল্কায়ন মূল্য ১৮০ ডলার। প্রতি কেজি আলুতে ডিউটি দিতে হচ্ছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। আলু কেনা, এলসি খরচ, ডিউটিসহ প্রতি কেজি আলু আমদানির খরচ পড়ছে প্রায় ২৭ টাকা। ফলে বাজারে ৩০ টাকার মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এদিকে সরেজমিন দেখা যায়, আলু আমদানির খবরে ইতিমধ্যে বেনাপোল বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আরও কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় আলু ৩২ টাকা ও দেশি আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ কেজি ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের সহযোগিতা আমদানিকারকদের করা হচ্ছে।’
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা পেলে মান পরীক্ষা শেষে আলু খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।’