‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন, একটি স্বপ্নের উন্মোচন’ শুক্রবার বিকেলে হাতিরঝিলে এ রকম একটি ফেস্টুনের সামনে দাঁড়িয়ে সপরিবারে ছবি তুলছিলেন শ্যামলী থেকে আসা মোহাম্মদ মিজান। কথা বলে জানা গেল, তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে তাঁর যাতায়াতের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারপরেও এই সেতু উদ্বোধন নিয়ে তিনি ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এর কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদ মিজান বললেন, ‘আমার এলাকায় যেতে পদ্মা পাড়ি দিতে হয় না, তো কি হইছে? এটা তো আমাদের দেশের গর্ব। আর তাই আমিও এই সেতুর উদ্বোধন নিয়ে আনন্দিত।’
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সেতু বিভাগের আয়োজনে যমুনা ব্যাংক এবং ফাস্ট কমিউনিকেশনের সহযোগিতায় নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ডে বসানো হয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। ছুটির দিনে হাতিরঝিলে আসা দর্শনার্থীদের অনেকেই মিজান সাহেবের মতো উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পদ্মা সেতুর ব্যানার, ফেস্টুনের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন। সন্ধ্যার পরে বর্ণিল এলইডির আলোয় ফুটিয়ে তোলা হয় পদ্মা সেতুর আদল। বর্ণিল এ আয়োজন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের উত্তর প্রান্তে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সেতু বিভাগ।
হাতিরঝিলে বাদাম বিক্রি করেন মোহাম্মদ সবুজ মিয়া। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনিও। আজকের পত্রিকাকে সবুজ মিয়া বলেন, ‘সেতুডা খুললে সবারই তো ভালা হইবো। যানজট কমবো। কে কোন এলাকার সেইডা তো বড় কথা না। উপকার সবার হইব, এইডাই বড় কথা।’