ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের দুদিন পর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দী এক পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া লাশটি ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কংসপট্টি গ্রামের কামরুল হাসানের (২৫)। তিনি এপিবিএন-১ ঢাকায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
ধামরাই থানায় পুলিশ জানায়, কামরুল হাসান কয়েক দিন আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমান। এরপর থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে একটি ডোবায় বস্তাবন্দী অবস্থায় তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
কামরুলের বোন রোজিনা বলেন, ‘বছর খানেক আগে আমার ভাই পাশের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ গ্রামের লাবু মিয়ার মেয়ে নার্গিস আক্তারকে (২০) বিয়ে করেন। বিয়ের আগে একটি ছেলের সঙ্গে আমার ভাবির সম্পর্ক ছিল এ রকম তথ্য পাওয়া যায়। এ নিয়ে ভাই ও ভাবির মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। আমার ধারণা কলহের জের ধরেই আমর ভাই খুন হয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুলের স্ত্রী নার্গিস আক্তার কিছু বলেননি। রাতে এক সঙ্গে ঘুমানোর কথা স্বীকার করলেও কীভাবে তাঁর স্বামী ঘর থেকে বের হলেন এবং খুন হলেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান নার্গিস আক্তার।
ধামরাই থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক তদন্ত মনে হচ্ছে কামরুলকে হত্যার পর বস্তায় ভরে ডোবার পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নার্গিস আক্তারের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এই সন্দেহে তাঁকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বোঝা যাবে তিনি জড়িত কিনা। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।