গণমাধ্যমে ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশে বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তবে ওই রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং সিআইডি চাইলে স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান করতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
এদিকে অভিযোগের বিষয়টির অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে রুল খারিজের আবেদন করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সিআইডির একটি আবেদন দিয়ে তিন মাস সময় চাওয়া হয়েছিল অনুসন্ধানের জন্য। সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে তারা। হাইকোর্ট তাদের আবেদন মঞ্জুর করে রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন। তবে দুদকসহ অন্যান্য সংস্থা চাইলে অনুসন্ধান করতে পারবে।
এর আগে ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে ২০২২ সালে একটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালত স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
গণমাধ্যমে আসা ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।