রাজধানীর দক্ষিণখানের হাসান মাহমুদ কমপ্লেক্সের মালিক হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন ওই মার্কেটের ভাড়াটিয়া আনোয়ারা খানম ওরফে আলো।
গত রোববার দক্ষিণখান কাঁচাবাজারের ওই মার্কেটে রাতে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার বি অ্যালার্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের উপ মহাব্যবস্থাপক আলো বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন। অপরদিকে ওই মার্কেটের মালিক হাসান মাহমুদও বাদী হয়ে মারধরে অভিযোগে একই থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ করেন।
আলোর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই মার্কেট থেকে সিকিউরিটি অফিস ছেড়ে দেওয়ার জন্য মার্কেট নোটিশ দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আলোর স্বামী ও সিকিউরিটি কোম্পানির এমডি রিয়াজুল হক, কর্মচারী তানভির, জাহিদ বিন সুলতান, শাকিল খান, শামিম শেখকে হাসান মাহমুদের অফিসে যেতে বলে। পরে রোববার রাত ১১টার দিকে সিকিউরিটি সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক রিয়াজুল হক সেখানে যাওয়ার পথে হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে সিঁড়িতে ওত পেতে থাকা রুবেল মিয়া, আব্দুল মোতালেব, সাইফুল ইসলাম তাদের মারধর করতে করতে পঞ্চম তলার অফিসে নিয়ে যায়। অপরদিকে মার্কেটের মূল গেট তালা মেরে সেখানকার কর্মচারীরাসহ ওই লোকজন লাঠি-সোঁটা নিয়ে তাদের মারধর করে।
এ সময় তারা রিয়াজুল হকের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, হাতে থাকা ব্রেসলেট ও কর্মচারীর একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই মার্কেটের মালিক হাসান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিকিউরিটি কোম্পানির অফিস ছাড়াকে কেন্দ্র করে তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
অপরদিকে বি-অ্যালার্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের অফিসে গিয়ে এবং মোবাইলে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মার্কেট মালিক ও বি-অ্যালার্ট সিকিউরিটি কোম্পানির দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। পরে তারা উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’