হোম > সারা দেশ > ঢাকা

‘যৌন নিপীড়নে’ অভিযুক্ত জাবি সহকারী প্রক্টরের অপসারণ দাবি

জাবি প্রতিনিধি

‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির অপসারণ চেয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, যৌন নিপীড়ন ও শিক্ষক নিয়োগে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে জনির শাস্তির দাবিতে তিন দাবি পেশ করেন শিক্ষকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষকেরা। 

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠকালে অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, ‘সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে গুরুতর দুটি অভিযোগ হলো—শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টরের পদ ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব বিস্তার। অন্য অভিযোগটি হলো আরেক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং তাঁকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী এগুলো নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণজনিত অপরাধ। এসব ঘটনার সত্যতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে বেশ কিছু ছবি, স্ক্রিনশট ও অডিও ক্লিপের মাধ্যমে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি পেশ করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি। আনিছা পারভীন জলি বলেন, ‘আগামী ৮ ডিসেম্বরের সিন্ডিকেটে স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন করতে হবে, প্রাথমিক সত্যতা থাকায় অভিযুক্তকে সব পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তদন্ত সাপেক্ষে জনিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামরুল আহসান, শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক সোহলে রানা, অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন প্রমুখ। 

এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের ২১ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের আহ্বায়ক বরাবর মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তিনটি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। 

এদিকে উপাচার্য বরাবর অভিযোগের আশু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। এতে গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘এত সব মারাত্মক অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত সত্ত্বেও মাহমুদুর রহমান জনির সহকারী প্রক্টর পদে বহাল থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে।’ 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধানে জানা যায়, জনি একটি অডিওতে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক গর্ভপাতের বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষক পদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আরেক ছাত্রীর সঙ্গে নিজের বিছানাকক্ষ ও অফিসকক্ষে অন্তরঙ্গ ছবি আছে। 

এ ব্যাপারে অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি বলেন, ‘সহকর্মী হিসেবে জনিকে যত দূর জেনেছি, তাতে এসব অডিও ক্লিপ, ছবি ও সিনেটের প্রাথমিক সত্যতা আছে। তা ছাড়া জনি এখনো এসব তথ্য-প্রমাণকে অস্বীকার করেননি। তাই তাঁর অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।’ 

এসব বিষয়ে মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘এসব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে পরামর্শ করেছি, অচিরেই এদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি সম্মিলিত নারী প্রয়াসের

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ যুবক আটক

হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজুর স্বীকারোক্তি

সুপারিশের তিন মাস পেরোলেও যোগদান হয়নি ৩৫০০ চিকিৎসকের

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

হাজারীবাগে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, পুলিশ বলছে পটকা

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান