ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩ নং ওয়ার্ডের প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে গরু কোরবানি দিলে প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
পশুর হাটের পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে।’
ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে। বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ডিএনসিসির উদ্যোগ সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘এ বছর ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসির সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং আমি নিজে মাঠে থাকব। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর রয়েছে, যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে।’
কোরবানির হাট পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।