হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বিদ্যুৎ খাতে দুরবস্থার দায় সরকারের, নাগরিক ঐক্যের সেমিনারে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে দুর্নীতি, লুটপাটের অন্যতম প্রধান উৎস বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এই খাত সরকার কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করেছে। জ্বালানি খাতে এসব ব্যবসায়ীকে আইনি প্রক্রিয়ায় লুটপাটের সুযোগ দিয়ে সরকার দায়মুক্তি দিয়েছে। এই সরকারকে বিদায় না করে বিদ্যুৎ খাতের সংকট দূর করা যাবে না। 

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বিদ্যুৎ: আলো থেকে অন্ধকারের যাত্রা’—শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন বক্তারা। সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।

সেমিনারে নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কলামিস্ট জাহেদ উর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ, ব্যাংক, মেগা স্ট্রাকচার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি টাকা লুটপাট হয়। বাংলাদেশের ক্ষমতা এখন চোরদের দখলে। যাবতীয় চুরি হচ্ছে আইনের মধ্য দিয়ে। 

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমরা উৎপাদন করতে পারছি না জ্বালানির অভাবে। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। জ্বালানি আমদানির দায়িত্বও এখন এই চোরের সরকাররা তার অলিগার্কদের হাতে তুলে দিয়েছে।’ 

জ্বালানিবিশেষজ্ঞ বিডি রহমাতুল্লাহ জ্বালানি খাতের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে বলেন, যে কয়লা এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো জনগণের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রথম দিনেই ভেঙে ফেলবে। সারা বিশ্বে সোলার এনার্জির সহজলভ্যতা বাড়ছে। কিন্তু সরকার এগুলো করবে না। কারণ, এখানে লুটপাটের সুযোগ নেই বললেই চলে। 

সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাইদ বলেন, একসময় আইন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না। এখন তেমনি আইন হচ্ছে, বিদ্যুৎ খাতে যারা দুর্নীতি লুটপাট করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আগে রাজনীতিবিদদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন তারা বুঝে গেছে, তাদের ক্ষমতায় রাখতে জনগণের সমর্থন নয়, কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমর্থন পেলেই হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যেখানে অন্যায় করে কোনো দায় নিতে হবে না, এমন সুযোগ দেওয়া হয়—সেখানে অন্যায়, দুর্নীতি হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তারা দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। 

তিনি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ এবং আদানির সঙ্গে অসম চুক্তির বিরোধিতা করে বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে। জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। দেশে দায়বদ্ধতার কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। আগে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের ক্ষেত্রে যে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে না? বিচার হয়েছে না? জনবান্ধব সরকার ক্ষমতায় গেলে এই বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটিও উঠে যাবে, এই লুটপাটকারীদের বিচার হবে।’

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ভোট দিতে দেবে না, ব্যাংকগুলো বাঁচবে না। জেলে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে। বড় অসুস্থতা হলে হাসপাতালে নেওয়ার অনুমতি পাওয়ার জন্য এক মাস সময় লাগে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আগে একবেলা খেতে পারত, এখন চারবেলা খায়। চারবেলা কেউ খায়? তিনি যা ইচ্ছা তা-ই বলেন। কারণ, ওনার তো কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। মানুষ এই সরকারকে মানে না। এই দুঃশাসনকে তাড়াতে যা নিয়ে নামতে হয়, তা নিয়েই নামব।’

‘ছোট ভাই প্রটেকশন বাড়াও’— রাকসু জিএসকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

বিজয় দিবসে তেজগাঁও বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন না ওড়ানোর অনুরোধ

খিলক্ষেত থানার পাশে পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

সাভারে থেমে থাকা বাসে আগুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত