রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কপালে টিপ পরা নিয়ে কলেজ শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেক নিজেই নিয়ম ভেঙেছেন এবং ঘটনা নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে কমিটি।
আজ শুক্রবার ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার অভিযোগের সতত্য পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এর আগে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দার টিপ পরায় পুলিশের হেনস্তার শিকার হওয়ার দাবি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি জাতীয় সংসদেও হেনস্তাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। ঘটনার দুদিন পর কনস্টেবল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করার পাশাপাশি তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ। সেই সঙ্গে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।