আগামী সোমবারের মধ্যে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো ও আট দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রকাশ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়েছে পিএসসি সংস্কার আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে চাকরিপ্রার্থীরা জড়ো হয়ে কলাভবন ও রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘পিএসসি ও সরকারকে আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজন হলে রাজপথে নামতে প্রস্তুত। আন্দোলনকারীরা চাইলে শাহবাগ অবরোধের মতো কর্মসূচিও নিতে পারত, তবে এখনো তারা আলোচনার সুযোগ রাখছে।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো এবং আট দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে। গত ১৭ এপ্রিল পিএসসির চেয়ারম্যান ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলনকারীদের দাবিতে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। তখন জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সংস্কার কমিশন গঠন করে দাবিগুলোর সমাধান হবে।
বিন ইয়ামিন আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা এলেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এখনো কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি। ফলে কমিশনের পুরোনো সিন্ডিকেট ব্যবস্থার সংস্কার হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রাক-যাচাইয়ের মতো যান্ত্রিক ও হয়রানিমূলক প্রক্রিয়ার সমাধান চাই। সেই সঙ্গে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার নতুন তারিখও দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।’
পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের এই বিক্ষোভে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, গোপালগঞ্জ জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসূচি পালনে সংহতি জানিয়েছে।
তাঁদের আট দফা দাবি হলো—বিসিএস এক বছরে শেষ, প্রিলি-লিখিত নম্বর প্রকাশ ও রুটিন আগেই দিতে হবে, ভেরিফিকেশন হয়রানি বন্ধ, প্রাক-যাচাই বাতিল, গেজেট আটকে রাখলে কারণ ও আপিলের সুযোগ, নন–ক্যাডার বিধি সংশোধন করে ভাইভা উত্তীর্ণদের চাকরি নিশ্চিত, ৪৬তম বিসিএসে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের শাস্তি ও বাতিল না হওয়ার নিশ্চয়তা, ৪৪তম বিসিএসের ফল জুনে, ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা জুলাইয়ে নিতে হবে, ৪৫তম বিসিএসে ভাইভা নম্বর ১০০, ফল ২০২৫ সালের মধ্যে, ভাইভার আগে ক্যাডার পুনঃপছন্দের সুযোগ, জট কমাতে সদস্যসংখ্যা বাড়ানো, খাতা দেখা কমিশনে বসেই করতে হবে।