বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হককে দুর্নীতির তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
মুহিবুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে পৃথক পৃথক আদেশে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত কার্যালয় মহিবুলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ২৮ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক সহকারী পরিচালক এবং তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আজ সোমবার শুনানির তারিখ ধার্য করেন। চারটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় মুহিবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যোগাযোগ, নেভিগেশন ও নজরদারি ব্যবস্থাপনা, রাডার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় রাডার নির্মাণের সময় প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। একই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ (তৃতীয় টার্মিনাল) প্রকল্প থেকে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ২১২ কোটি টাকা এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ ও রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে আত্মসাৎ করা হয় ১৫০ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২০ নভেম্বর রাত ১১টায় মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে মুহিবুলকে আটক করা হয়। এরপর বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।