রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার জেলা প্রশাসক।
আজ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার টাকা এবং তুলনামূলক কম আহতের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে স্বজনদেরও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ঢামেক জরুরি বিভাগের সামনে একটি বুথ খুলেছে জেলা প্রশাসন।
সেই বুথে বসেই মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, এখান থেকে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার, গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার, সামান্য আহতদের ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোট ১৭টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুলিস্তান বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের পাশে সিদ্দিকবাজারে বহুতল ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে এখন মোট ১৭টি জনের মরদেহ রয়েছে। তাঁদের কারো অবস্থা গুরুতর ছিল, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- নদী (৩৫) ও তাঁর স্বামী মমিনুল (৩৮), বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১),যাত্রাবাড়ীর শেখদির মনসুর হোসাইন (৪০), কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়ার রাহাত (১৮), চাঁদপুর মতলবের আল আমীন (২৩), কলাবাগান গ্রিন রোডের ইশহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলু বাজারের ইসমাইল (৪২) এবং কদমতলী মাতুয়াইলের মাইনুদ্দীন(৫০), হৃদয় (২০), ইদ্রিস মিয়া (৬০), আবৃত্তি বেগম (৭০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নাজমুল হোসেন (২৫) এবং সম্রাট।
এর আগে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
আজ বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিকবাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
৫ নম্বর ভবনটি পাঁচতলা, আর কুইন সেনিটেরি মার্কেট নামে পরিচিতি ৬ নম্বর ভবনটি আট তলা। এই ভবনের বেসমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।