থেমে নেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। ৭ বছর ধরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে অবস্থান নিচ্ছিল একদল হাতি। দিনে বা রাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
গত ১৩ এপ্রিল ভোরে চারটি হাতি বাঁশখালী বনে ফিরে গেলে মানুষের মনে স্বস্তি ফেরে। ৩ মাস পরই রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে একটি হাতি লোকালয়ে ঘুরতে দেখেন বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক এলাকার বাসিন্দারা।
মুহূর্তে হাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকে হাতিকে ধাওয়া করতেও দেখা যায় একটি ভিডিওতে।
তবে হাতিকে ধাওয়া করা ভিডিওটি অনেক আগের বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনোয়ারাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, গত রাত একটার দিকে হাজিগাঁও এলাকায় পাহাড়ে লেজ কাটা হাতিটি দেখতে পান স্থানীয়রা। আবারও আমাদের ঘুম হারাম করে দিল বন্য হাতি। রোববার রাত ১০টার দিকে গুয়াপঞ্চক এলাকায় লেজ কাটা হাতিটিকে আমরা দেখতে পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ আগের করা ভিডিও ছেড়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ভিডিওতে চারটি হাতি আসছে বলেও দাবি করছেন। তবে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
বাঁশখালী জলদী রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ ফোন রিসিভ না করায় কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কেইপিজেডের উপমহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘কেইপিজেডের পাহাড়ে হাতির আসার বিষয়টি শুনেছি, এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারপরও আমাদের ইআরটি টিমের সদস্যরা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, আনোয়ারার হাতি আসার খবরটি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। বন বিভাগকে বিষয়টি জানানো হবে এবং স্থানীয়দের সর্তক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।