লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আলিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ হয়। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের উত্তর তেমহুনী থেকে ঝুমুর সিনেমাহল এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে বাগবাড়ি এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন এবং কয়েকজনকে মারধর করেন। এ সময় বাগবাড়ি এলাকায় জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধের সময় মাদাম এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ পাল্টা মিছিল নিয়ে ঝুমুর সিনেমা হলের দিকে যেতে চাইলে দুই-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আহত কয়েকজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু-পক্ষের মধ্যে চরম, উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়নি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
আন্দোলনকারী মাকসুদুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলি ও হামলায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।’
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাতা হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি পালন করার সময় জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। মাঠে ছাত্রলীগ রয়েছে। মাঠ ছেড়ে যাবে না।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ‘দু-পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।’