চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁটল ট্রেনের ছাদে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তাঁর পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন।
তবে অন্য দুজনকে আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন চমেক আইসিইউ বিভাগের প্রধান হারুনুর রশিদ।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে যিনি আইসিইউতে আছেন, তাঁর নাম অংসইনু মারমা। ৪৮ ঘণ্টায়ও তাঁর জ্ঞান পুরোপুরি ফেরেনি। মাথায় ইনজুরি হওয়ায় আশঙ্কামুক্ত নন তিনি। আইসিইউতে থাকা অন্য দুজনকে নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন—বাংলা বিভাগের আমজাদ হোসেন সোহাগ (১৮) ও খলিলুর রহমান (২২)। তাঁরাও মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া চবি ক্যাম্পাসগামী সাঁটল ট্রেনের ছাদে দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে পাঁচজন ছাত্র চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন—বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের তাইজুল ইসলাম (২১) ও আবু সাইদ (২৪), ইংরেজি বিভাগের মোহাম্মদ সান (২১) ও আসলাম (২২) এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের রাফসান (২৩)। আহতদের দেখতে ওই দিন রাত ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চবি উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি সাঁটল ট্রেন প্রতিদিন মোট ১৪ বার শহর-ক্যাম্পাস-শহর আসা যাওয়া করে। প্রতিটি সাঁটলে দশটি করে বগি আছে। ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতে যা খুবই অপ্রতুল। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে, ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ করেন শিক্ষার্থীরা।