দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক সহকারী অধ্যাপকসহ সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বর্ষাকালীন ছুটির কারণে বিষয়টি সামনে আসে সোমবার (৪ আগস্ট)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানি, বিভাগীয় আসবাবপত্র জোরপূর্বক দখল, অফিসরুম দলীয় কাজে ব্যবহার, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি স্কলারশিপে আবেদন, সহকর্মীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও তেড়ে যাওয়া, উপ-উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তিসহ একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া সাত কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্য বরখাস্তকৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের নিম্নমান সহকারী তানভীর আহমেদ, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের নিম্নমান সহকারী সায়ন দাশগুপ্ত, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত নথি শাখার নিম্নমান সহকারী পারভেজ হাসান, হিসাব নিয়ামক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় স্টোর শাখার কর্মচারী উজ্জ্বল হাওলাদার ও আব্দুল মান্নান।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা করায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় তাদের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।