চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের বলির হাট এলাকায় বাইরের গ্যাস লাইনের লিকেজের গ্যাস জমে বিস্ফোরণে দুটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আটজন। গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে বলিরহাট মকবুল হাজীর বাড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মামুনা খাতুন (৬০), ডলি আক্তার (৩৫), সুমা আক্তার (১৮), মহিম (১০), নুরনাহার খাতুন (৫০), রিনা আক্তার (১৬), হৃদয় (১৭) ও লাবনী আক্তার (১০)।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার শেষ রাতে বিস্ফোরণ হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তথ্য আসে। এরপর কালুরঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে এর আগেই আগুন নেভানো হয়।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাশের নালা থেকে ম্যানহোলের কাছে গ্যাস লাইনের লিকেজ হয়। সেই গ্যাস পাশের একটি সেমি পাকা ঘরের সেপটিক ট্যাংকে গিয়ে জমে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই সেমি পাকা ঘর ও পাশের একটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে। তাতে আহত হন আটজন। তবে আহত সবাই সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
বলির হাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, আনুমানিক ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাকা একতল একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় আগুন লেগে গেলে ওই বাড়ির বাসিন্দারা দ্রুত বাড়ির ছাদে উঠে প্রাণরক্ষা করেন। এতে আহত হন তাঁরা।
বিস্ফোরণে বাড়ির চারটি দেয়াল পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ১০ ফুট দূরে গিয়ে পড়েছে। ওই বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া আরেকটি বাড়ির টয়লেট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার দূরে আরেকটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ওপরের লোহার ঢাকনা উড়ে গেছে এবং নিচতলার টাইলসসহ মেঝেতে ফাটল ধরেছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. মোজাহার আলী বলেন, খবর পেয়ে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা লিকেজ হওয়া অংশটি বন্ধ করে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, বিস্ফোরণে নারী, শিশুসহ আটজন আহত হয়েছেন। তবে কারও অবস্থা গুরুতর নয়।