চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর তিন অস্ত্রধারীকে গুলি করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে দুজন রিভলবার দিয়ে বাকিজন শটগান ব্যবহার করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আনার পর মৃত্যু হয়। তাঁদের মাথায় গুলি লেগেছে।
চমেকের দায়িত্বরত চিকিৎসক তুহিন শুভ্র দাশ হুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আহত ৩৫ জন ভর্তি হয়েছেন চমেকে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত একজনের নাম মো. ইমাদ (২১)। তিনি পটিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। নিহত অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহদ্দারহাট মোড়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে তিন অস্ত্রধারীকে। হামলাকারীরা সরকার দলীয় স্লোগান দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি গ্রুপ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। কালো টি শার্ট ও নীল গেঞ্জি পড়া দুজনকে একটি শটগান দিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে একটি গ্রুপ থেকে ওই দুজন গুলি ছোড়েন।
এর আগে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।’
এর আগে দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্স সংলগ্ন রাস্তায় একে একে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে আগে থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অবস্থান থাকলেও শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার খবরে সেখানে আরও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের আশপাশেই অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ বক্সেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।