কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে সর্বশেষ দুজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কতুবজোম এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে কোরবান আলী (৩২), করিম উল্লাহর ছেলে মো. সেলিম (৩২), ঈদগাঁর রশিদ আহমদের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২১), টেকনাফ সাবরাংয়ের মৃত হাছান আলীর শহিদ উল্লাহ (৩০), উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের মো. রশিদ ও মো. শরীফ।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত চারজনের পরিচয় শনাক্ত করার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, চার মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের দাফন কাজের জন্য রোহিঙ্গা পরিবারকে সহায়তা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান সাপেক্ষে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুসনে মুবারক ২৪ জন দালালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন। এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জবানবন্দি শেষে স্ব স্ব ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।
নিখোঁজের বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের কেউই সুনির্দিষ্টভাবে সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি। কারণ তাঁরা নিজে বা তাঁদের দল নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তারপরেও পুলিশের পক্ষ থেকে নানাভাবে সঠিক সংখ্যা নিরূপণে কাজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এপ্রিলের শেষে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া সীমান্তে পৌঁছালেও দেশটিতে প্রবেশ করতে না পেরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ফিরে আসা ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। ওই দলের সঙ্গে থাকা অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা খাদ্য ও পানি সংকটে মারা যান।