চট্টগ্রামের ইপিজেডে পাঁচ বছরের শিশু আয়াতের মরদেহের খণ্ডাংশ তিন দিনেও অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ রোববার বেলা ১২টা থেকে উদ্ধার অভিযান নামেন পিবিআইয়ের সদস্যরা। এ সময় শিশুটিকে হত্যার অভিযুক্ত যুবক আবিরকে (৩৫) সঙ্গে রাখে তারা।
এদিকে গতকাল শনিবার আদালতে আবেদনের মাধ্যমে আবিরকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
পিবিআই জানায়, রোববার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সাগর পাড় ও আশপাশ এলাকায় খণ্ডিত লাশের প্যাকেট উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় ওখানকার স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
গত ১৫ নভেম্বর নগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আয়াত। শিশুটি তাঁর বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় মক্তবে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহেল ইপিজেড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। শিশু আয়াতের নিখোঁজের বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করে আবের আলীর সম্পৃক্ততা পায়। অভিযুক্ত আবের শিশু আয়াতের পরিবারের মালিকানাধীন বাসার ভাড়াটিয়া।
গ্রেপ্তার কিশোর আবেরের তথ্য দিয়ে পিবিআই বলছে, শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্ত যুবকের। কিন্তু ঘটনার দিন তাঁর মোবাইলে থাকা সিমটি কাজ না করায় সে শিশুটির পরিবারকে ফোন দিতে পারছিল না। একপর্যায়ে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে। পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে ভাড়া বাসাতেই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এরপর শিশুটির লাশ একটি ব্যাগে ভরে আবের তাঁদের ইপিজেডের পুরোনো ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে বাথরুমে আয়াতের লাশটি ছয় খণ্ড করে আলাদা ৬টি প্যাকেটে ভরা হয়। পরদিন ১৭ নভেম্বর তিনটি প্যাকেট ২০ ফুট গভীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নালায় ও বাকি তিনটি প্যাকেট প্যাকেট সাগরে ফেলে আসে অভিযুক্ত আবের আলী। এই তথ্য পেয়ে শুক্রবার পিবিআই শিশুটির খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধারে নামে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওই শিশুটির দেহাবশেষের কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি।