হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

১৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ঋণখেলাপি

এস আলম গ্রুপের ৫৪৮ কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স ও ৫৮ কোটি ৮৭ শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের খাতুনগঞ্জ শাখায় এস. আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের ১৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় এস আলম গ্রুপসংশ্লিষ্ট ৫৪৮ কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স এবং ৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ৬২১টি শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এক আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা দেন বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ জানান।

একইসঙ্গে ঋণ পরিশোধ না করার বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ১৪ আসামিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ইসলামী ব্যাংকের তথ্যমতে, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল এস আলম গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি করে পরিশোধন ও বাজারজাত করত। এই প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির জন্য ২০০৬ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ থেকে ঋণ সুবিধা নিয়েছে। গত ২৯ জুনের হিসাবমতে, প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকের পাওনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৮১৩ টাকা।

মামলার বাদী ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক মো. জামাল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগপর্যন্ত ব্যাংকটিতে এস আলম গ্রুপের একক আধিপত্য থাকায় কাগজে-কলমে এই ঋণ সমন্বয় করা হতো।

তিনি আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এই ঋণ আদায়ে জোর তৎপরতা চালানো হলেও ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসছেন না প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারেরা। তাই গ্রুপের পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্যারান্টার ও বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ১৪ জনকে বিবাদী করে মামলা করা হয়েছে।’

এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে গ্রুপের কারখানা, মেশিনারিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৭২৬ শতক সম্পত্তি সহায়ক জামানত হিসেবে রয়েছে, যার সর্বোচ্চ মূল্য ২০০ কোটি টাকা বলে জামাল উদ্দীন জানান।

ইসলামী ব্যাংক সূত্র বলেছে, এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। ঋণের অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকাই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ভাগিনা মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়।

মামলার আবেদন তালিকায় দুটি সম্পদের উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে এস. আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের আওতায় গন্ডামারা ও আলকদিয়া মৌজায় স্থিত জমি, স্থাপনা, যন্ত্রপাতি, কাঁচামালসহ সকল সম্পদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট ৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ৬২১টি শেয়ার রয়েছে।

তালিকাভুক্ত আরেকটি সম্পত্তি হলো— টপ টেন ট্রেডিং হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব। এটি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখায় অবস্থিত এবং সেখানে জমা রয়েছে ৫৪৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯২ টাকা।

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা, একজন বলছিলেন—‘গুলি কর’

পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার আইনজীবী জামিনে মুক্ত

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারার প্রতিবাদে দিনে লাল পতাকা, রাতে মশাল মিছিল

চমেক হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে অর্ধদিবস কর্মবিরতি

পার্টির পেছনে ইসলাম থাকলে, সেটা ইসলাম হয়ে যায় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের দ্বিতীয় দিনেও কোটার ৮০০ কম পর্যটক