ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ব্যস্ততম মহাসড়কে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। ফলে সড়কে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কটিতে চলাচলকারী পরিবহন যাত্রীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ আসলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহাসড়কের ওপর কোনো হাট বসবে না। কিন্তু সে কথা আর কেউ মনে রাখেন না। ঈদের মৌসুমে শহর থেকে মানুষ বাড়ি ফিরছে। এমন সময়ে মহাসড়কের ওপর পশুর হাট। মানুষের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সড়কের ওপর পশুর হাট বসানোর বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর হাটটি তুলে নেওয়ার জন্য গ্রাম-পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা কাজ করছেন। এ ছাড়া সড়কে পশুর হাট বসানোর দায়ে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু টানেলের সংযোগ সড়ক উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারার কালাবিবিরদীঘি পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার ছয় লেনের সড়ক নির্মাণকাজ শেষ। তবে টানেল উদ্বোধনের আগে কর্ণফুলীর অংশে বড় উঠান ফাজিল খাঁর হাট এলাকার এক কিলোমিটার মহাসড়কের ওপর বসেছে কোরবানির পশুর হাট।
মহাসড়কের দুপাশে গরু–ছাগল বেঁধে রেখে চলছে বেচাকেনা। এতে ইজারার শর্তে মহাসড়কের পাশে কিংবা মহাসড়কে পশুর হাট না বসার বিষয়ে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সেই শর্ত ভঙ্গ করে বসানো হয়েছে হাট।
হাটে পশু কিনতে আসা আবুল কালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘মহাসড়কের ওপর এভাবে হাট বসানো ঠিক হয়নি। পশুর হাট বসানোর ফলে ভোগান্তি পড়েছে মানুষ। মানুষের বিবেক চলে গেছে। না হলে মানুষ কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের পাশে হাঁট বসাবে।’
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার মো. আজাদ মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি, আপনি আমার পার্টনার মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন বলে সংযোগ কেটে দেন। এরপরই মুজিবুর রহমানকে কল দিলে তিনিও ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।’