নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নোয়াখালী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও বাড়ির দরজায় অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলি গ্রামে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ছোট ছেলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক বাহার উদ্দিন খেলনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাহার উদ্দিন খেলন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিনের ট্রাক প্রতীকে পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা শেষে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোর রাতের দিকে হঠাৎ আমার বাড়ির চারদিকে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পরে ঘর থেকে দেখি বাড়ি গেইটে আগুন জ্বলছে। তবে কাউকে দেখি নি।’
খেলন অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর অনুসারী হানিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে আমার বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এই ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
প্রতিবেশী ও পাশের বাড়ির দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোররাতে তিনি শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও শব্দ শুনেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী বাহার উদ্দিন খেলনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘তিনি (খেলন) এত বড় নেতা নন যে, তাঁর বাড়িতে হামলা হবে। আমার কোনো অনুসারী এ ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাই। উনার বাড়ির সামনের একটু ধানের বিচালিতে আগুন এবং সিসিটিভি লেখা একটা লিফলেট পোড়ানো হয়েছে। তবে ককটেল বিস্ফোরণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত চলছে।’