রাঙামাটির কাপ্তাই লেক পর্যটকদের কাছে সব সময়ই আকর্ষণীয়। কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জল, আশপাশের পাহাড়-টিলা এবং বিলাইছড়ি উপজেলার ঝরনা-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা বছরই পর্যটকের আনাগোনা থাকে কাপ্তাই জেটিঘাট-বিলাইছড়ি নৌ রুটে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে পর্যটকের চাপ থাকে বেশি। তবে চলমান হরতাল ও অবরোধে আশঙ্কাজনক হারে পর্যটক কমেছে এই নৌ রুটে। এতে বিপাকে পড়েছেন এই রুটের ওপর নির্ভরশীল বোটমালিক ও চালকেরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় কাপ্তাই জেটিঘাট পন্টুনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় যাত্রীশূন্য ব্যস্ততম এই ঘাট। শুধু চার-পাঁচজন যাত্রী অপেক্ষমাণ একটি বোটে বসে আছেন বিলাইছড়ি যাওয়ার জন্য। কথা বলে জানা যায়, তাঁরা সবা স্থানীয় অধিবাসী।
এ সময় পন্টুনে কথা হয় বোটচালক নুরুল আমিন ও নুর আহমেদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সারা বছর পর্যটক আসেন এই রুটে। অনেকেই কাপ্তাই লেক ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেন, আবার অনেকেই বিলাইছড়ি উপজেলার ঝরনা ও পাহাড় দেখতে যান। কিন্তু গত এক মাস ধরে হরতাল-অবরোধে পর্যটক নেই বললেই চলে। যেখানে বোটচালকেরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করতেন, এখন বেকার বসে আছেন। কেউ তাঁদের এই দুর্দশার খোঁজও রাখে না।
বোটমালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার দুটি বোটের চালকেরা পর্যটক কম থাকায় বেকার হয়ে বসে আছে। কী করব বুঝতে পারছি না।’
জেটিঘাট বোট মালিক সমিতির লাইনম্যান শীতল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ না থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ পর্যটক এই নৌরুটে চলাচল করতেন। বেশ জমজমাট ছিল এই নৌরুট। কিন্তু গত এক মাস ধরে আমরা সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছি।’