‘ডাকসু ও জাকসুতে হারার পরও কেমন করে এই পদে থাকেন তিনি’—ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে ‘কটাক্ষ’ করে এমন মন্তব্য করেছেন সংগঠনের চবি শাখার বহিষ্কৃত নেতা মামুন উর রশিদ। আজ মঙ্গলবার তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন।
ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দীন নাছিরের ছবিসংযুক্ত পোস্টটি বেশ কিছুক্ষণ মামুনের ওয়ালে থাকলেও পরে সেটি আর দেখা যায়নি। তার আগেই পোস্টটি ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দেন।
পোস্টে মামুন লেখেন, ‘সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ২০২৫-এ সুন্দর প্যানেল দিয়ে ছাত্রদলের বিজয় নিশ্চিত করায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবকের প্রতি আবেদন করছি—জনাব নাছির উদ্দীন নাছিরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে শূন্য পদে মনোনীত করা হোক।
ডাকসু ও জাকসুতে হারার পরও কেমন করে এই পদে থাকেন তিনি! আমি যদি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হতাম, নিজে পদত্যাগ করে নাছির উদ্দীন নাছিরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে জোবরার জমিদারদের কাছ থেকে চারটি গরু কিনে চাষ করতে দিতাম।’
এর আগে গত রোববার সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে চবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন উর রশীদ মামুনকে। ওই দিন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ মামুনকে সাংগঠনিক পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো। ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হলো।