চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহর বেতন ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়নি সংস্থাটির বোর্ড। আজ সোমবার ওয়াসা বোর্ডের ৬৫-তম সাধারণ সভায় এমডির এক লাফে এত বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবটি তোলা হলে অনেক সদস্যই বিস্মিত হন। পরে এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নতুন করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় ওয়াসা বোর্ডের এই সভা। সভার ১০টি আলোচ্যসূচির মধ্যে ৭ নম্বরে ছিল ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবটি। বাকি ৯টি আলোচ্যসূচি ছিল রুটিনমাফিক।
বোর্ড সভায় অংশ নেওয়া দুজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সভায় এক লাফে এমডির বেতন দেড়শ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবে অনেকেই বিস্মিত হন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন-এটা কীভাবে সম্ভব? এরপর এ বিষয়ে পরামর্শ-সুপারিশ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ অনুবিভাগ) মুহম্মদ ইবরাহিমকে প্রধান করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য ৩ সদস্য হলেন-অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাসান খালেদ ফয়সাল, বোর্ড সদস্য শওকত হোসেন ও ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) শামসুল আলম। তাঁদের আগামী বোর্ড সভায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহর মূল বেতন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গত বছরের ৪ মে অনুষ্ঠিত ৬১-তম বোর্ড সভায় তিনি দেড়শ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা মূল বেতন চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তখন ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেই কমিটি বেতন বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। গত ৮ মাসে তাঁরা এ বিষয়ে একটি সভাও করেননি।
ওই কমিটিতে থাকা বোর্ড সদস্য শওকত হোসেন আছেন নতুন কমিটিতেও। পুরোনো কমিটির বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শওকত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের কমিটির কোনো বৈঠকই হয়নি। বলা যায়, সেটি বাতিল। আর এই অ্যাজেন্ডা (এমডির বেতন বাড়ানো) সেই সভার পর গত তিন সভায় তোলাও হয়নি। এখন দেখি নতুন করে কমিটি হল। আগামী বোর্ড সভার আগে এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’