চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো রকমের কার্পণ্য করা হবে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই এমন সব স্থাপনা যেন দ্রুত উচ্ছেদ করা হয়। আদালতের কোনো নির্দেশনা না থাকলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এক দিনও দেরি করা হবে না।
আজ শুক্রবার সকালে নগরের অভয় মিত্র ঘাটে কর্ণফুলী নদীতে ১৯তম ‘সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি মেলা ১৪৩২ বাংলা’–এর তিন দিনের আয়োজনে দ্বিতীয় দিনে সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের এ ধরনের নির্দেশনার কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কর্ণফুলী নদী দিয়ে হয়ে থাকে। তাই দখল-দূষণ থেকে নদী রক্ষায় সবাইকে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এর আগে সাম্পান শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপির দক্ষিণ জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আব্বাস।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যাঁরা নামে-বেনামে ও অবৈধভাবে কর্ণফুলী দখল করেছেন, তাঁরা নিজ থেকে সরে গিয়ে কর্ণফুলীকে তার স্বমহিমায় প্রবাহিত হতে দিন। না হলে স্থানীয় নেতারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের নদীর অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য করবে। তখন নিজেদের সম্পদ যাওয়ার পাশাপাশি কালো মুখোশও জনগণের সামনে উন্মুক্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম ইতিহাস-সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝিকল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি মেলা-১৪৩২-এর প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, সাম্পান খেলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মীর্জা ইসমাইল, কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, এম মাইন উদ্দিন চেয়ারম্যান, সাম্পান খেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা প্রমুখ।