চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬৫টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় সমুদ্রে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ পুড়ে গেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার জলদাশপাড়ায় ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জলদাসপাড়ার জেলেপাড়ায় হঠাৎ করে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর দ্রুত বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন ওই পাড়ার লোকজন। নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার কারণে আহত বা নিহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়দের ধারণা, শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখায মুহূর্তের মধ্যে ৬৫টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আসার আগেই ঘরগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরগুলো হলো গুরু দাশ, সনজয়, বিজয়, সনতো, রাখালসহ ৬৫টি পরিবারের বসতঘর।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আবুল বশর বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই বসতঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশে থাকা অন্যান্য বসতঘর রক্ষার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলদাশপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ভোরে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলেপাড়ার বসতঘরগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পরে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’