৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার-আইপিএএমএসে অংশ নেওয়া ২৪টি দেশের সেনা কর্মকর্তারা কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার ৪ নম্বর/এক্স রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায় সেনা কর্মকর্তাদের গাড়িবহর।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান চার্লস এ. ফ্লিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৪ নম্বর/এক্স রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দরবার হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি, মানবিক সাড়াদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পরে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন সেনা কর্মকর্তারা। মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গারা সেনা কর্মকর্তাদের কাছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অত্যাচার-নিপীড়নের বর্ণনার পাশাপাশি নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতার অনুরোধ করেন।
এ সময় উপস্থিত ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ ওসমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশে ফিরতে চাই। সেনা কর্মকর্তাদের আমরা জানিয়েছি আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করা হোক।’
পরে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন সেনা কর্মকর্তারা। মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া রোহিঙ্গারা সেনা কর্মকর্তাদের কাছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অত্যাচার-নিপীড়নের বর্ণনার পাশাপাশি নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতার অনুরোধ করেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দ্দৌজা বলেন, সভায় ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের রোহিঙ্গা মানবিক সাড়াদান কর্মসূচির চলমান কার্যক্রম নিয়ে অবগত করা হয়েছে। সেনা কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় উখিয়ার ইনানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক এই সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
৪৬তম আইপিএএমএসের তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিন দিনব্যাপী এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালের পর তৃতীয়বারের মতো সহ আয়োজক হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করছে বাংলাদেশ।