চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু বহন করা ৫০টি বাল্কহেড জব্দ এবং এসব নৌযানের সঙ্গে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পাঁচটি দলের পৃথক অভিযানে এসব বাল্কহেড জব্দ করা হয়। নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কহেডগুলো থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং কাগজপত্র দেখেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এ সময় চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এমভি ওয়াটার হেন-৫-এর সুকানি ফরিদ হোসেন জানান, তাঁরা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাঁদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতি রাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে, কিন্তু বালু বহনের বৈধ কাগজপত্র নেই।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে আসছিলাম। চলতি বছরের পাঁচ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই বড় ধরনের অভিযান।
তিনি আরও বলেন, যে ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করেছি, এগুলোর প্রতিটি পদ্মা নদীর কোনো না কোনো স্থান থেকে উত্তোলন করা বালু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঠালবাড়ী এলাকায় যারা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে, তাদের কোনো বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই। জব্দকৃত বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।