সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। গত ২২ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে রোজা রাখা শুরু করে এসব গ্রামের লোকজন। ২৯ রোজা পূর্ণ করেই তাঁরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ ময়দান ও ১০টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পীর আল্লামা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী ও মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী। এ ছাড়া একই এলাকায় আরও কয়েকটি ঈদের জামাত হয়েছে।
এদিকে সকাল ৯টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সীরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. রহমত উল্লাহ।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলী, শহারাস্তি উপজেলা কয়েকটি গ্রামের আংশিক এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই ঈদের জামাতের প্রস্তুতি চলে এসব গ্রামে। মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ময়দানে। কোথাও মসজিদ আবার কোথাও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত ঈদের জামায়াত। নামাজের আগে রোজা-পরবর্তী করণীয়, নামাজ, জাকাত অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন ইমামগণ।
আগাম রোজা ও ঈদ পালনের এই রীতি চালু হয় ১৯২৮ সাল থেকে। ওই এলাকার আলেম মাওলানা ইসহাক (রহ.) এই আগাম ঈদ উদ্যাপন ও রোজা পালনের প্রচলন শুরু করেন। এরপর থেকে তাঁর অনুসারী লোকজন এভাবে ঈদ উদ্যাপন করে আসছেন। প্রথম পর্যায়ে এই ঈদ উদ্যাপন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একসময় অনুসারী বাড়তে থাকে।
মরহুম ঈসহামুহাম্মদ মাসুদ আলম (রহ.)-এর ছেলে মুফতি জাকারিয়া আল-মাদানী বলেন, ‘অনেক গণমাধ্যমে বিষয়টি সঠিকভাবে লেখা হয় না। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়, বরং ইসলামের রীতি অনুযায়ী কোরআন, হাদিসসহ অন্য কিতাবগুলোর স্পষ্ট বর্ণনার আলোকে আমরা ঈদ উদ্যাপন করে আসছি। অর্থাৎ, সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদ্যাপন করি।’