চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের গোয়াল ভাওর গ্রামের বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন। পুকুরে বিলুপ্তপ্রায় দেশি মাছের পোনা চাষ করে তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা। তাঁর মুন্না হ্যাচারি এখন স্থানীয় মৎস্য খামারিদের নির্ভরতার নাম। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেকের জন্য।
কামাল হোসেন জানান, অল্প জায়গা ও সীমিত পুঁজি নিয়ে তিনি মাছের পোনা চাষ শুরু করেন। বর্তমানে আড়াই বিঘা জমির পুকুরে তিনি বাইম, কালিবাউস, মৃগেল, সুবর্ণ রুই, কাতল, তেলাপিয়া ও মহাশোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা উৎপাদন করছেন। তাঁর সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই মাছের পোনা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কামালের ভাষায়, ‘স্বল্প সময়ে কম খরচে বেশি লাভ পেতে হলে গুণগত মানের মাছের পোনা উৎপাদনের বিকল্প নেই। আমি দেশি প্রজাতির মানসম্মত পোনা সরবরাহের চেষ্টা করছি। মাছচাষিরা মুন্না হ্যাচারি থেকে নিয়মিত পোনা সংগ্রহ করছেন।’
বাংলাদেশে মাছ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। পরিসংখ্যান বলছে, একজন মানুষের দৈনিক অন্তত ৪৫ গ্রাম মাছ খাওয়ার প্রয়োজন হলেও দেশের বেশির ভাগ মানুষই পান তার চেয়ে কম। ফলে মাছের উৎপাদন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। এ চাহিদা পূরণে পোনা চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ‘উপজেলায় বেশ কয়েকটি হ্যাচারি রয়েছে। এর মধ্যে কামাল হোসেনের হ্যাচারি উল্লেখযোগ্য। আমরা নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকি। ভালো পোনা ছাড়া মাছ চাষে সফলতা পাওয়া যায় না।’