হোম > সারা দেশ > বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিচ্যুত

প্রতিনিধি, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান ও দুই নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১২ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁদের কাছে অব্যাহতিপত্রের অফিস আদেশ পৌঁছানো হয়। স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুতরা এর আগে কেউ সাময়িক বরখাস্ত, কেউ বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিসিসিতে সংযুক্ত ছিলেন। 

সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গত তিন বছরে নতুন ১২ জনসহ এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত ও অর্ধশত জনকে ওএসডি করা হয়েছে। শনিবার বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

সর্বশেষ চাকরিচ্যুত ১২ জন হলেন, বিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির ও কাজী মনিরুল ইসলাম স্বপন, সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম টিপু, উপসহকারী প্রকৌশলী কমল কৃষ্ণ দাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল, সহকারী বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মইন উদ্দিন, চিফ অ্যাসেসর মুশফিক আহসান আজম, সম্পত্তি শাখার স্টোর অফিসার মাহবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম, হিসাব সহকারী মো. সালাম সরদার এবং হাটবাজার শাখার স্টল সহকারী আতাউর রহমান। 

বিসিসি সূত্রে জানা যায়, ১২ জনের চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত হওয়ার আদেশে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো: ফারুক স্বাক্ষর করেন গত ১৯ জুলাই। দশ দিন পর ২৯ জুলাই চিঠিতে অফিস স্মারক নম্বর দেওয়া হয়। ১২ জনের চাকরিচ্যুতির আদেশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, `উল্লেখিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ সময় সাময়িক বরখাস্ত এবং ওএসডি করে রাখা হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তাঁরা সংশোধন হননি। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করেছেন। যাতে বিসিসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এসব কারণে গত ২৩ আগস্ট বিসিসির ৪র্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভায় ৯০ দিনের বেতন পরিশোধ করে ১২ জনকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।' 

বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহান সাংবাদিকদের কাছে বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিসিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। 

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থায়ীভাবে আরও চাকরিচ্যুত হয়েছেন বিসিসির বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, ট্রেড লাইসেন্স শাখার তত্ত্বাবধায়ক আজিজুর রহমান শাহিন, হাট-বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক মো. নুরুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এবং মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী-২ শাখাওয়াত হোসেন শাহিন। ওএসডি হয়ে বেতন বন্ধসহ বিভিন্ন শাস্তির খড়্গে আছেন অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ ছাড়া সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসমা আক্তার স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসরে যান এবং উপ কর কর্মকর্তা আবুয়াল মাসুদ মামুন কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করে দেন বলে জানা যায়। 

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ইসলামী আন্দোলনের

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারি খাল দখল, অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ

খালের পাড় থেকে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ

বরিশাল বিমানবন্দর ওসমান হাদির নামে নামকরণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

নেছারাবাদে হাসপাতালে যাওয়ার ঘাট বন্ধ করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ভোগান্তিতে রোগীরা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জিয়াউল আহসানের পৈতৃক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

নানা বিতর্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

বরিশালের ৬ আসন: বিএনপির চ্যালেঞ্জ ৪ আসনে