বিয়ের দাবিতে ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনায় যাওয়া জামালপুরের তরুণীকে মাহমুদ হাসানের ঘরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মাহমুদুলের মামা আবদুস সোবাহান গাজীর সম্মতিতে আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ সোনা মিয়াসহ স্থানীয়রা তালা ভেঙে ওই তরুণীকে ঘরে আশ্রয় দেন।
ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ সোনা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই তরুণী আসার পর মাহমুদুলের পরিবার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজার সংলগ্ন ভাড়া বাসার কক্ষটি তালাবদ্ধ করে চলে যায়। তিন দিন পর গতকাল রোববার দুপুরে মাহমুদুলের মামা সোবাহান গাজী ওই বাসায় আসলে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই তরুণী তাঁকে আটক করে রাখে। পরে ‘হয় মাহমুদুলকে এনে দাও, নয় নিজে এখানে আটক থাকো অথবা বাসা খুলে দাও’ এমন শর্ত দেন ওই তরুণী। পরে সোবাহান গাজী সোমবার ১১টা পর্যন্ত সময় নেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাগনেকে হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় মাহমুদুলের মামা নিজেই তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করান ওই তরুণীকে।
চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে মেয়েটিকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছিলাম। তাঁর থাকার জায়গা দিতে চাইলেও ওই বাসা ছেড়ে সে যাবে না কোথাও। এ কারণে সেখানে মেঝেতেই দিনরাত কাটিয়েছে। এখন বিষয়টি সমাধানে ছেলের পরিবারকে এগিয়ে আসা উচিত।’
এ ঘটনায় মাহমুদুলের মামা সোবাহান গাজী বলেন, ‘আমি রোববার এখানে মেয়েটির জন্য মানবিক কারণে খাবার কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু সে এলাকার লোকজন নিয়ে আমাকে আটকে রাখে। আমি বাধ্য হয়ে আজ তালা ভাঙার অনুমতি দিয়েছি। আমার বোন ভগ্নিপতি ও ভাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘কোনো পক্ষ থেকে আমরা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’