কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার ঢাকার অপরাধজগতের ত্রাস, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের জোবারপাড় গ্রামের বিপুল বাইনের ছেলে। তাঁর বাবা বিপুল বাইন ছিলেন একটি এনজিওর গাড়িচালক। তাঁদের পরিবার ঢাকায় বসবাসের কারণে আগৈলঝাড়ায় গ্রামের বাড়িতে তেমন একটা আসতেন না। তবে গত ডিসেম্বরে একবার বাবার সঙ্গে সুব্রত গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।
সুব্রত বাইনের চাচা পটন বাইন বলেন, ‘আমার ভাই বিপুল বাইন একটি এনজিওতে চাকরি করার সুবাদে সে এবং তার পরিবার কখনো বাড়িতে থাকত না। তার ছেলে সুব্রত বাইন শুনেছি গ্রেপ্তার হয়েছে।’
সুব্রতের চাচাতো ভাই রথিন বাইন বলেন, ‘সুব্রতের নামে বিভিন্ন মামলা থাকায় আমাদের বাড়িতে প্রায় সময়ই তাকে খুঁজতে পুলিশ আসত।’
আরেক চাচাতো ভাই প্রবীর বাইন বলেন, ‘সুব্রত বাইনের কারণে আমরা সব সময় মানুষের কথা শুনতাম। সে আমাদের বাড়ির সন্তান হয়ে এভাবে সন্ত্রাসী পথ বেছে নেবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি। তার গ্রেপ্তারের কারণে এখন আর হয়তো আমাদের বাড়িতে পুলিশ আসবে না।’
আরেক চাচাতো ভাই মার্টিন বাইন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘ডিসেম্বরে বাবা বিপুল বাইনকে নিয়ে একবার এসেছিল। এলাকায় ঘুরে দেখে গেছে। সুব্রতর মা নেই। অনেক দিন পর সবার সঙ্গে সময় কাটিয়ে গেছে।’
জানতে চাইলে স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হৃদয় রায় প্রদীপ বলেন, জোবারপাড়ের মানুষ সুব্রত বাইন সম্পর্কে কেবল জানতেন যে তিনি একজন বড় মাপের শীর্ষ সন্ত্রাসী। মুখে মুখে তাঁর কথা শুনেছেন, কিন্তু এলাকার খুব কমসংখ্যক মানুষ তাঁকে দেখেছেন। দুবারের ইউপি সদস্য হয়েও তাকে তিনি কখনো দেখেননি। প্রদীপ বলেন, ‘৫ তারিখের (আগস্ট) পরে একবার এলাকায় আসছিলেন, কিন্তু দেখা হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, জোবারপাড়ায় বাইন বংশ আছে। কিন্তু সুব্রত বাইনের সেখানে কেউ থাকে না। তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনও না।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি অলিউল ইসলাম বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের নামে আগৈলঝাড়ায় কোনো মামলা নেই। কিন্তু অন্য স্থানের একটি ওয়ারেন্ট এ থানায় এসেছে। সেটির খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁরা।
আরও খবর পড়ুন: