পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ট্রাকভর্তি ৩০ লাখের বেশি গলদা রেণু অবৈধভাবে অন্যত্র পাঠানোর সময় সেগুলো আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেণুগুলো উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করে এবং ট্রাকটি থানায় নিয়ে যায়।
আজ সোমবার উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘাট থেকে গোপনে খুলনা ও বাগেরহাটে রেণু পাঠানো হচ্ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকাবাসী ট্রাকসহ ৫২ ড্রাম গলদা রেণু আটক করার পর গাড়ি ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ছাত্রদল নেতা রাজীব এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন। উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আলী খান ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী তানজিল আহমেদ রিডেনও এই চক্রে জড়িত বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রাজীব বলেন, ‘অবৈধ গলদা রেণুর গাড়ি আটকানোর কথা শুনে আমি ঘাটে যাই। গলদা রেণুর ব্যবসায়ী বেলাল আমাকে গাড়ি ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার বিকাশ নাম্বারে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা পাঠায়। আমি তার কাছে টাকা চাইনি; কী কারণে টাকা দিয়েছে, জানি না।’
গলদা রেণু ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘রাজীব ভাইয়ের কথামতো আমি বিকাশে টাকা পাঠাই। পরে শুনি রেণুগুলো নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
তবে যুবদল নেতা ইয়াসিন আলী খান এবং ছাত্রদল নেতা কাজী তানজিল আহমেদ রিডেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা দাবি করেন, রেণু পাচারের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলিম বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ট্রাকভর্তি ৫২ ড্রাম গলদা রেণু জব্দ করি। জনসমক্ষে রেণুগুলো তেঁতুলিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়।’