জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ৯ মাস পর মামলা করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব মারজুক আবদুল্লাহকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সংগঠনের জেলা মুখপাত্র সুমি হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
১৪ মে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত হয়েছে। এতে নামধারী আসামি ২৪৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় আড়াইশ। তবে এ মামলায় আসামি তালিকায় নাম রাখা ও বাদ দেওয়া নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় আমির হোসেন আমুসহ বরিশাল মহানগর, জেলা ও উপজেলার নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাইকে আসামি করা হয়েছে। পাশের জেলা ঝালকাঠির কয়েকজন চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া দিপ্ত টিভির বরিশল বিভাগীয় প্রতিনিধি মর্তুজা জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ মামলার আসামি। আসামি রয়েছেন জেলে ও কৃষকও।
শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের অবগত না করে সংগঠনের পদ ব্যবহার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে; যা সংগঠনের শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। তাঁর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলার দায়িত্বশীলদের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
শোকজের সত্যতা নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা মুখপাত্র সুমি হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা এই মামলার বিষয়ে আজ বিকেলে বৈঠক করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, মামলার আসামি যেমন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আছেন, তেমনি কৃষক, জেলেও আছেন। তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলেও তাঁদের হাতে এখনও প্রমাণ আসেনি।