এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদীতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় যুবলীগের আরেক নেতা কালু তালুকদারকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। কালুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর অটোটেম্পু মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ এনামুল হকের (৫৬) সঙ্গে গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. দেলোয়ার হোসেনের (৫৪) বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার বিকেলে দেলোয়ার হাওলাদারের সমর্থক পাভেল হোসেনকে সভাপতি ও মো. ফেরদৌসকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবলীগের একটি পাল্টা কমিটি ঘোষণা দিয়ে দেলোয়ারের সমর্থকেরা কার্যালয় দখল করতে যান। সেখানে গিয়ে এনামুলের সমর্থকের কাছে অফিসে আর্থিক হিসাব চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং এনামুলের ছেলেকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার জেরে পরে সন্ধ্যায় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে বাটাজোর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহিদ হাওলাদার (২৬) সহযোগীদের নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু তালুকদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রাহিদ হাওলাদার বলেন, ‘হামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। কালু তালুকদার আমার বাবা চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করলে বিক্ষুব্ধ জনতা কালুর ওপর হামলা চালিয়েছে।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের আরেক নেতা সলিল গুহ পিন্টুকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে।