পটুয়াখালীর দশমিনায় বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে নিখোঁজ চারজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ রোববার তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ সকালে তেঁতুলিয়া নদীর পাতারচর এলাকা থেকে বর রাব্বি হাওলাদার (২২) ও তাঁর মা সেলিনা বেগম (৪৫) এবং সাড়ে ১০টার দিকে গলাচিপা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর বন্যাতলী এলাকা থেকে চাচাতো শ্যালিকা মারিয়ার (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনজানের জানাজা আজ বেলা সাড়ে ৩টায় আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। রাব্বি ও সেলিনাকে আউলিয়াপুর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে এবং মারিয়াকে চর বোরহান ইউনিয়নের চর শাহজালাল গ্রামে পৈতৃক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানায় তাঁদের পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হওলাদরের ছেলে রাব্বির সঙ্গে উত্তর শাহজালাল গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিকেল ৪টার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে বরযাত্রীর ট্রলার আউলিয়াপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় তেঁতুলিয়া নদীর চর আপতি এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ২০ জন বরযাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক ১৫ জন সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন বর রাব্বী, তাঁর মা সেলিনা বেগম, ফুফু লিপি বেগম, ফুপাতো বোন খাদিজা ও চাচাতো শ্যালিকা মারিয়া। পরে স্থানীয়রা ওই দিনই ফুফু লিপি বেগমের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে। বর্তমানে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আজ এসএসসি, দাখিল ও কারিগরি পরীক্ষা শুরু। আমি তিনজনের উদ্ধারের খবর পেয়েছি। বাকি একজন নিখোঁজ আছেন। তাঁকে উদ্ধারের কাজ চলমান।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, এ পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড উদ্ধারকাজ চলাচ্ছে।