ভোলার লালমোহনে টয়লেট থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করা হয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের রায়রাবাদ গ্রামের ইউনূছ খনকারের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাতেই নিহতের বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মেয়ে নূরজাহানের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম নূরজাহান বেগম (২৬)।তাঁর বাবার বাড়ি উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টগবী গ্রামে।
নূরজাহান ওই বাড়ির কবিরের স্ত্রী। কবির ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ওই দম্পতির ৭ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহত নুরজাহান বেগমের শাশুড়ি রানু বেগমকে (৪৫)।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘নূরজাহানের বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি রানু বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
গতকাল শনিবার ঘটনার বিষয়ে লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ওই গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর স্বামী কবিরের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা ছিল। এ জন্য নূরজাহান বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তবে শনিবার সন্ধ্যায় টয়লেটে গিয়ে নূরজাহানের শাশুড়ি তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা গিয়ে আমাদের খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’